ধরুন আপনি একটি প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস শুরু করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনি সেই প্রোডাক্ট নিয়ে অবশ্যই মার্কেটিং করবেন যেন সেই প্রোডাক্টটি কাস্টমারদের কাছে পৌছানো যায়। এক্ষেত্রে আপনি মার্কেটিংয়ের অফলাইন মাধ্যমের সাথে নিশ্চয়ই ফেইসবুক, ইউটিউব সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ার কথাও ভাবছেন? মূলত এগুলোই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম।

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার করার স্ট্রাটেজিকে বোঝায়। এটি ট্রাডিশনাল মার্কেটিং থেকে আলাদা কারণ এটি টেলিভিশন, রেডিও, বা প্রিন্ট মিডিয়ার মতো ট্রেডিশনাল সেক্টরে ব্যবহার করে না।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরণের সেক্টর রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি হল:

  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERPs) এ হাই র‌্যাঙ্ক করার জন্য অপ্টিমাইজ করা।
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM): সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ (SERPs) এ এড শো করার জন্য পেমেন্ট দেয়া।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, টুইটার, এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার করা।
  • কনটেন্ট মার্কেটিং: ব্লগ পোস্ট, ই-বুক, এবং ইনফোগ্রাফিকের মতো মূল্যবান কনটেন্ট ক্রিয়েট করা ও পাবলিশ করা।
  • ইমেইল মার্কেটিং: কাস্টমারদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে প্রোডাক্ট রিলেটেড ইনফরমেশন পাঠানো।

আজকের ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার বিজনেসের সাকসেসের জন্য অপরিহার্য। একটি ইফেক্টিভ ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আপনাকে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছাতে, আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু গ্রো করতে এবং আপনার সেল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

আজকে আমরা আপনাকে দেখাব কিভাবে একটি ইফেক্টিভ ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করবেন:

স্টেপ ১: আপনার গোল সেট করুন

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করার আগে, আপনাকে প্রথমে আপনার গোল সেট করতে হবে। আপনি কি আপনার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি গ্রো করতে চান? আপনি কি আরও লিড জেনারেট করতে চান? আপনি কি আপনার সেল বৃদ্ধি করতে চান?

আপনার গোলগুলো ডিফাইন করার পরে, আপনি আপনার স্ট্রাটেজি তৈরি করতে শুরু করতে পারেন।

স্টেপ ২: আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সিলেক্ট করুন

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ইফেক্টিভ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সদের বুঝতে হবে। তাদের বয়স কত? তাদের আগ্রহ কি? তারা কোথায় অনলাইনে সময় কাটায়?

আপনার অডিয়েন্সদের আইডেন্টিফাই করার পরে, আপনি তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সঠিক চ্যানেল এবং মেসেজ সিলেক্ট করতে পারেন।

স্টেপ ৩: বাজেট ঠিক করুন

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করার সময়, আপনাকে অবশ্যই আপনার বাজেট এ্যানালিসিস করতে হবে। আপনি কত টাকা বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক?

আপনার বাজেট নির্ধারণ করার পরে, আপনি আপনার বাজেট কোথায় ব্যয় করবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

স্টেপ ৪: মার্কেটিংয়ের জন্য সঠিক চ্যানেল সিলেক্ট করুন

বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল রিসোর্স রয়েছে, যেমন:

  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • কনটেন্ট মার্কেটিং

আপনার গোল এবং অডিয়েন্সদের উপর নির্ভর করে, আপনাকে আপনার স্ট্রাটেজির জন্য সঠিক চ্যানেল সিলেক্ট করতে হবে।

স্টেপ ৫: স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট করুন

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করার পরে, এটি ইমপ্লিমেন্ট করার সময় এসেছে। আপনাকে আপনার সিলেক্টেড চ্যানেলে আপনার প্ল্যান ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।

স্টেপ ৬: আপনার রেজাল্ট ট্রাক করুন

আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ইফেক্টিভ কিনা তা জানতে, আপনাকে অবশ্যই আপনার রেজাল্ট ট্র্যাক করতে হবে। আপনি বিভিন্ন KPI (Key performance indicators) ইউজ ব্যবহার করতে পারেন।

  • ওয়েবসাইট ট্রাফিক
  • লিড জেনারেশন
  • ROI (বিনিয়োগের উপর রিটার্ন)

আপনার ফলাফল ট্র্যাক করে, আপনি দেখতে পারবেন কোন কৌশলগুলো কাজ করছে এবং কোনগুলো নয়। আপনি তখন আপনার স্ট্রাটেজিগুলো সেই অনুযায়ী রিনিউ করতে পারেন।

স্টেপ ৭: স্ট্রাটেজি আপডেট করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গ্রোয়িং ফিল্ড। নতুন চ্যানেল এবং স্ট্রাটেজি সবসময় তৈরি হচ্ছে। আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে থাকার জন্য আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।