সর্বাধিক ব্যবহারযোগ্যতার জন্য পাইথন বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। শিক্ষাগত উদ্দেশ্য থেকে শুরু করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমানে পাইথন ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট, একজন ওয়েব বা সফ্টওয়্যার ডেভেলপার, এমনকি শুধুমাত্র একজন প্রযুক্তি ইন্থুসিয়েস্ট হলেও, পাইথনের দক্ষতা আপনার জন্য উপকারী হবে। 

একটি জনপ্রিয় সাধারণ-উদ্দেশ্য প্রোগ্রামিং ভাষা (General Purpose Programming Language)  হিসাবে, প্রচুর কোম্পানি পাইথন ব্যবহার করে, যার মধ্যে NASA, Spotify, Google, এবং JP Morgan অন্যতম। পাইথনের বহুমুখিতা, ওপেন সোর্স এবং সরলতার কারণেই মূলত প্রোগ্রামিং দুনিয়ায় এই ভাষাটি এতো জনপ্রিয়। 

একজন পাইথন মাস্টার হলে আপনি কী কী করতে পারবেন? 

১। অসাধারণ কিছু ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং ড্যাশবোর্ড তৈরি করতে পারবেন 

পাইথনের সাহায্যে ড্যাশবোর্ড এবং ভিজ্যুয়ালাইজার তৈরি করতে পারা অন্যান্য কাজ থেকে বেশ সহজ হলেও, এটি খুবই কার্যকারী একটি টুল। এছাড়াও, ম্যাটপ্লটলিব, সিবোর্ন এবং প্লটলির মতো লাইব্রেরি টুলের সাহায্যে; আপনি খুবই শক্তিশালী, জটিল এবং কাস্টমাইজযোগ্য ড্যাশবোর্ড এবং ভিজ্যুয়ালাইজার তৈরি করতে পারবেন। এ ধরণের ড্যাশবোর্ড পরবর্তীতে আপনি সকলের সাথে শেয়ার করতে পারবেন, যা একটি কোম্পানির কার্যকারিতা অনেক গুণ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

২। ডেটা নিয়ে কাজগুলো অটোমেশনের সাহায্যে করা 

ডেটা নিয়ে অনেক কাজই অনেক সময় খুবই রিপেটেটিভ বা পুনরাবৃত্তিমূলক হয়ে থাকে, যা যদি ম্যানুয়েলি প্রতিবার করতে যাওয়া হয়, তখন অনেক বেশি সময় নষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু, এ কাজগুলো আপনি অটোমেশনের মাধ্যমে আরো সহজে এবং দ্রুত করতে পারেন। উদাহরনস্বরূপ- ডেটা অ্যানালিস্টের সাপ্লাই চেইন এর অবস্থা অনুমান এবং গণনা করার কাজটিকে নেয়া যায়। এক্ষেত্রে, ডেটা অ্যানালিস্ট প্রতি সপ্তাহে বা মাসে ফরকেস্টের কাজটি করতে গেলে, অনেক সময় নষ্ট হয়ে থাকে। 

কিন্তু, পাইথন আপনাকে কিছু স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে দেয়, যা কিছু কমান্ড-লাইন জ্ঞানের সাথে মিলিত হয়ে, আপনাকে পূর্বের তথ্যের উপর ভিত্তি করে, ভবিষ্যতে কি ধরণের অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে তার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। 

৩। আর্থিক হিসাবের কাজগুলো আরো দ্রুত করতে পারা 

ফাইন্যান্স এবং ফিনটেকের জগতে বহুল ব্যবহৃত টুলগুলির মধ্যে পাইথন অন্যতম। পোর্টফোলিও বিশ্লেষণ, পরিমাণগত ঝুঁকি নির্ণয়, ক্রেডিট রিস্ক মডেলিং, ফরকাস্টিং এবং আরও অনেক কিছুর জন্য সারা বিশ্বে পাইথনের বহুল ব্যবহার রয়েছে। এছাড়াও,, আর্থিক বিষয়ক গণনা বা অন্যান্য কাজগুলোর সাথে অটোমেশনকে একত্রিত করে, আপনি এই কাজগুলো অনেক দ্রুত ও সহজে করতে পারবেন। 

৪। মেশিন লার্নিংয়ের সাহায্যে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারা

পাইথনের সবচেয়ে শক্তিশালী ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মেশিন লার্নিং। বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে, সবচেয়ে জনপ্রিয় পাইথনের মেশিন লার্নিং প্যাকেজ হলো Scikit-learn। Scikit-learn এবং মেশিন লার্নিং আয়ত্ত করতে পারলে আপনি খুবই শক্তিশালী কিছু মডেল তৈরি করতে পারবেন। যেমন - Customer Churn Model, Recommendation System ইত্যাদি। 

এছাড়াও, ডিপ লার্নিং-এর অন্যান্য প্যাকেজগুলো যেমন - Tensorflow, Keras এবং PyTorch বর্তমানে প্রচুর আশ্চর্যমূলক মেশিন লার্নিং মডেল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন - নিজ থেকে চলিত গাড়ি, ইন্টেলিজেন্ট চ্যাটবট ইত্যাদি।