সিমুলিঙ্ক আবার কী?
ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে ম্যাটল্যাব টুলের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। সিমুলিঙ্ক ম্যাটলাবেরই একটি সিমুলেশন টুল। সোজা ভাষায় সিমুলিঙ্ক একটি গ্রাফিকাল প্রোগ্রামিং সেটাপ।
দুনিয়াটাই দাঁড়িয়ে আছে প্রোগ্রামিং এর উপর, আর “প্রোগ্রামিং” শুনলেই আমাদের সামনে ভেসে উঠে কোড এডিটর আর সি/সি++ ল্যাঙ্গুয়েজ। কিন্তু, প্রোগ্রামিং মানেই হাতে লেখা কোড নয়। ইলেকট্রিক গাড়ি, বা স্পেস শাটল, সব খানেই জটিল সিস্টেম প্রোগ্রামিং করে ডিজাইন করা হয়, আর সেখানে ছোটখাট ভুল ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়।
এখানেই গ্রাফিকাল প্রোগ্রামিং টুল এগিয়ে থাকে। সিমুলিঙ্কে অনেক জটিল সিস্টেম ডিজাইন করে টেস্ট করে নেয়ার সুযোগ আছে। সাথে আছে কোড জেনারেশন টুল, যা ইউজারকে তার পছন্দের হার্ডওয়্যারে সিস্টেম রান করা সহজ করে দিবে।
গ্রাফিকাল প্রোগ্রামিং এর কিছু কথা
সহজ একটা প্রোগ্রামের কথা চিন্তা করা যাক। আমরা সি ল্যাঙ্গুয়েজে দুটি জিনিস ইনপুট নিয়ে গুণ করতে এই কোডটি লিখে ফেলতে পারিঃ
এই কোডটাকে গ্রাফিকালি সিমুলিঙ্কে আমরা এভাবে পেতে পারিঃ
সি কোড কেউ বুঝুক আর না বুঝুক, সিমুলিঙ্কের গ্রাফিকটা বুঝতে কারো অসুবিধা হচ্ছে না কিন্তু।
কাজ যত বড় হবে, হাতে লেখা কোডের পরিধি ততই বাড়তে থাকবে। ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমাদের কাজ কোন সমস্যা সমাধান করা, যেমন, কেউ হয়তো একটি গিয়ার-সিস্টেম বানাতে চাচ্ছে গাড়ির জন্য, অথবা একটি পিআইডি কন্ট্রলার টেস্ট করতে চাচ্ছে। তার জন্য বসে বসে বিশাল কোড লেখার চেয়ে দ্রুত সিস্টেম টেস্ট করা জরুরি।
এখানে ত্রাতা হিসেবে এসেছে সিমুলিঙ্ক। সিমুলিঙ্কের বিরাট লাইব্রেরিতে অটোমেশন, পাওয়ার সিস্টেম, কন্ট্রল সিস্টেম, ডিপ লার্নিং ইত্যাদি মডিউল শুধু ড্রেগ-এন্ড-ড্রপের অপেক্ষায়। যেমন, একটি পিআই কন্ট্রলার নির্ভর ব্রেক সিস্টেম কিভাবে সহজেই ডিজাইন করে ফেলা যাচ্ছে দেখা যাকঃ
সিমুলিংকের শক্তিঃ
আপনি যদি একজন একাডেমিক গবেষক হয়ে থাকেন, এবং মাল্টিডোমেইন ডাইনামিক সিস্টেম ডিজাইন করা আপনার লক্ষ্য হয়, তাহলে আপনার সিস্টেমটি বাস্তবে কিরূপ আচরণ করতে পারে তা সিমুলিঙ্কে সহজেই টেস্ট করে দেখতে পারেন।
সিমুলিঙ্কের সবচেয়ে বহুল ব্যবহার হয় অটমোটিভ, এরোস্পেস, অ্যাভিওনিক্স (ড্রোন এবং অন্য ইউএভি) আর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যেখানে সিস্টেম গুলোর মডেল বানিয়ে আগে টেস্ট করে দেখা হয়, তারপর কোড জেনেরেট করে যে প্রসেসরে সিস্টেমটি কাজ করবে তাতে আপলোড করে দেয়া হয়। কাজ কতটা সহজ করে দিচ্ছে সিমুলিঙ্ক একবার চিন্তা করে দেখুন।
ওস্তাদের ৩ সপ্তাহের সিমুলিঙ্ক চ্যালেঞ্জে থাকছে ৫ টি প্রোজেক্টের সাথে সিমুলিঙ্কে কাজ শেখার সুযোগ। হাতে হাতে শেখাই দক্ষ হয়ে উঠার একমাত্র উপায়। গ্রাফিকাল প্রোগ্রামিং আর সিমুলিঙ্কের জগতে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি!
কোর্সটিতে জয়েন করুন আজইঃ https://ostad.app/batch/simulink-challenge
ব্লগটি লিখেছেন আমিমুল ইহসান, COO & R&D Lead at Insight Labs-Metsys