পাওয়ার বি আই! নামটা কি একদমই নতুন মনে হচ্ছে? এক্সেল থাকতে আবার পাওয়ার বি আই কেনো? কী করে এই জিনিসটা দিয়ে? সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এই এক ব্লগে।
পাওয়ার বি আই কী?
একদম এক লাইনে যদি বলি, পাওয়ার বি আই হচ্ছে একটা বিজনেস এনালিটিক্স টুল। যেটা দিয়ে আপনি:
১. ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারবেন
২. আপনার অর্গানাইজেশনের ইনসাইট বের করতে পারবেন
৩. আপনার এপ বা ওয়েবে পাওয়ার বি আই কে এমবেড করতে পারবেন
৪. খুবই চমৎকার এবং ইনসাইটফুল রিপোর্ট জেনারেট করতে পারবেন
৫. এবং আরো অনেক কিছু করতে পারবেন।
কিন্তু এগুলো তো অনেক জেনেরিক টার্ম, এক্সেল দিয়েও তো সম্ভবত এগুলো করা যায়। তাও কেনো পাওয়ার বি আই? এর আগে আমাদেরকে এক্সেলের সাথে পাওয়ার বি আই এর পার্থক্যটা বুঝতে হবে।
এক্সেলের সাথে পাওয়ার বি আই এর পার্থক্যটা কোথায়?
১. এক্সেলে আপনি ডাটা স্টোরের পর তা অর্গানাইজ করতে পারেন, ট্রান্সফরম করতে পারেন, অনেক ম্যাথমেটিকাল অপারেশন করতে পারেন। কিন্তু সবসময় কি ডিসিশন নিতে পারেন?
এখানেই আসে পাওয়ার বি আই। আপনি তখনই ডাটা থেকে ডিসিশন নিতে পারবেন যখন আপনি ডাটাগুলোকে চোখের সামনে দেখতে পারবেন অর্থাৎ ভিজ্যুয়ালাইজ করতে পারবেন। পাওয়ার বি আই এই কাজটাই করে মিনিটের মধ্যে।
২. এক্সেলে কি আপনি এক মিলিয়ন row/column নিয়ে কাজ করতে পারেন? যদি বা পেরেও থাকেন, খুব আরামের সাথে কি করতে পারেন? উহু, খুব আনকম্ফোর্টেবল লাগে। পাওয়ার বি আই দিয়ে কিন্তু ইচ্ছামতো সংখ্যার row/column নিয়ে কাজ করতে পারেন।
৩. এক্সেলে আপনি ইচ্ছামতো ডাটা সোর্স ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু পাওয়ার বি আই তে যেকোন ডাটা সোর্সকে আপনি ইনপুট দিতে পারেন।
৪. একবার ভাবুন তো, আপনি আপনার স্মার্টফোনে এক্সেল ব্যবহার করছেন। row/column ধরে টানাটানি করছেন, কী যে একটা বিপদ! অথচ পাওয়ার বি আই আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইল ফোনে ইন্সটল করে ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা অবস্থাতেও ডিসিশন নিতে পারেন। এতটাই ইউজার ফ্রেন্ডলি।
৫. এক্সেলের চাইতেও কিন্তু ফাস্টার ডাটা প্রোসেস করা যায় পাওয়ার বি আই তে।
৬. এক্সেলের চেয়ে হাজারগুণে ভালো ড্যাশবোর্ড তৈরি করা যায় পাওয়ার বি আই তে। কারণটাও খুব সহজ। একটা ড্যাশবোর্ড তখনি খুব হ্যান্ডি হয়, যখন সেখানে ডাটা রিপ্রেজেন্টেশন/ভিজ্যুয়ালাইজেশনটা অনেক সুন্দর হয়। পাওয়ার বি আই তো এই ডাটা ভিজ্যুয়ালাইশনেই ওস্তাদ! আরো ইন্টারেক্টিভ, কাস্টোমাইজেবল।
৭. যখন একাধিক টেবিল, রিপোর্ট বা ডাটা ফাইলকে আপনি তুলনা করতে যাবেন, পাওয়ার বি তখনো কিন্তু এক্সেলের চাইতে অনেক পাওয়ারফুল কম্পারিজন দিবে।
যদি নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার হ্যা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার কালকে থেকেই পাওয়ার বি আই তে সুইচ করা উচিতঃ
১. আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রচুর ডাটা অলরেডি স্টোর করা আছে, আপনার কি দরকার এখন এনালাইসিস?
২. আপনি কি আপনার টিমের সাথে কোলাবোরেটিভলি কাজ করতে চান?
৩. আপনি অনেক বড়/বিশাল সাইজের ডাটা নিয়ে কাজ করেন?
৪. আপনার কি প্রায়ই প্রেজেন্টেশন/রিপোর্ট তৈরির সময় একটু সুন্দর বা ইন্টারেকটিভ ড্যাশবোর্ড বানানোর দরকার পড়ে? বা এক কথায়, আপনি কি আপনার বস/কলিগদের আপনার প্রেজেন্টেশন দিয়ে চমকে দিতে চান?
৫. ডাটা থেকে আপনার অনেক ডিসিশন নেয়া লাগে?
এখন আশা করি, আপনি বুঝতেই পারছেন আগামীকালকেই আপনার পাওয়ার বি আই তে কাজ করা উচিত কি না।
তার মানে কি এক্সেল ব্যাকডেটেড? মোটেও না। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য মোটেও এক্সেলে নিরুতসাহিত করা নয়। পাওয়ার বি আই সেরা নাকি এক্সেল?-সেটাও না। কোন টুলটা সেরা, পুরোটাই নির্ভর করছে আপনি কোন কাজে কোন টুলকে ব্যবহার করছেন। যে টুলই ব্যবহার করুন না কেন, এই ২০২২ সালে যাতে আপনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত একটাই- ডাটাকে দিয়ে কথা বলানো।
পাওয়ার বি আই ব্যবহার করে যদি আপনার ডাটাকে দিয়ে কথা বলাতে চান, তাহলে শিখে ফেলুন পাওয়ার বি আই। আর জয়েন করুন আমাদের লাইভ ব্যাচেঃ https://ostad.app/course/power-bi-for-professionals